বার্সেলোনা রিয়াল টাইপ ‘কামব্যাক’: ৬৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙল ফ্লিকের দল

মোট দেখেছে : 123
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

বার্সেলোনা আবারও প্রমাণ করল যে লা লিগার ম্যাচে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তা তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। সোমবার রাতে ভ্যালেন্সিয়ায় লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচে ২ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত জয় উদযাপন করেছে ৩-২ ব্যবধানে। মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে হান্সি ফ্লিকের দল জয় পায় যোগ করা সময়ে আত্মঘাতী গোলে। তবে এই জয় শুধুই ৩ পয়েন্টের নয়, বরং ইতিহাসের এক বিরল মুহূর্তও।

গত রাতের ভ্যালেন্সিয়ার লা লিগার ম্যাচে বার্সেলোনা দর্শকদের জন্য এক নাটকীয় খেলার জন্ম দিল। প্রথমার্ধের ১৫তম মিনিটে লেভান্তে এগিয়ে যায় ইভান রোমেরোর গোলের মাধ্যমে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আলেহান্দ্রো বালদের হ্যান্ডবলের কারণে হোসে মোরালেস পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন, ফলে বিরতির সময় বার্সেলোনার স্কোর ০-২। অনেকেই ভাবছিলেন, এই ব্যবধান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্সেলোনা প্রত্যাবর্তনের সূচনা করে। ৪৯তম মিনিটে ইয়ামালের ব্যাক পাস থেকে পেদ্রি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পর রাফিনিয়ার কর্নার থেকে ফেরান তোরেস দলের দ্বিতীয় গোল করেন। মাত্র দুই মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দুই গোলের ব্যবধান কমিয়ে বার্সেলোনা সমতায় ফিরতে সক্ষম হয়। লা লিগায় এমন দ্রুত প্রত্যাবর্তন শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে, তবে ৬৩ বছর আগে ১৯৬২ সালে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে একই ব্যবধান থেকে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা।

ম্যাচের উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন যোগ করা সময়ে লেভান্তের উনাই এলগেজাবালের একটি আত্মঘাতী শট বার্সেলোনাকে জয় এনে দেয়। এই ধরনের জয়ের নজির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা গেল, যেখানে যোগ করা সময়ে আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে দল জয়ী হয়। পুরো ম্যাচে পেদ্রি এবং ফেরান তোরেস গোলের মাধ্যমে দলের জয় নিশ্চিত করেন, আর লামিনে ইয়ামালও গোল না করলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখালে বোঝা যায়, লা লিগার অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথমার্ধের বিরতিতে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা আগে ৯৯ বার এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল। এর মধ্যে ৯২ বার হেরেছে, ছয় বার ড্র করেছে এবং কেবল একটি বার জয় পায়, যা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এবার সেই বিরল জয়ের স্মৃতি পুনরাবৃত্তি হলো লেভান্তের বিপক্ষে।

বার্সেলোনা সমর্থকরা এই জয়ের খবরে উল্লসিত, কারণ দল আবারও প্রমাণ করল যে কখনোও হার মানে না, বিশেষ করে যখন শেষ মুহূর্তে নাটকীয় কোনো গোলের মাধ্যমে জয় নিশ্চিত হয়।