নোয়াখালীতে জামায়াত-শিবিরের ৭ কর্মী হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

মোট দেখেছে : 38
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতা-কর্মী হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিস্তারিত জানুন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২০১৩ সালে গুলি করে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাল বেপারিবাড়ি থেকে নজরুল ইসলাম ওরফে মানিক (৫৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌয়জুল ইসলাম জানান, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী হত্যার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আজ দুপুরে তাঁকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা গেটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলা দায়ের করেন।

হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস এবং উই ক্যা সিং মারমাও রয়েছেন।