“ভারতকে হারানোর জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ, সুপার ফোরে আজ দুবাইয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ”

মোট দেখেছে : 85
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত ভারত ফাইনালের অন্যতম ফেবারিট হলেও ক্রিকেটে অনিশ্চয়তার জায়গা সব সময়ই খোলা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় লিটন দাসের দল আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামছে আজকের ম্যাচে।

ভারতের ব্যাটিং শক্তি অতুলনীয় হলেও তাদের দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিসংখ্যান বলছে, দুবাইয়ে রান তাড়া করে এশিয়া কাপে সব ম্যাচ জিতেছে ভারত। সে ক্ষেত্রে টসে জিতলে বাংলাদেশ কি ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠাবে—তা এখন বড় প্রশ্ন। তবে শিশির ফ্যাক্টর থাকায় পরে বোলিং করলে বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যাবে।

ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল বড় হুমকি। অভিষেকের বিস্ফোরক স্ট্রাইক রেট এবং গিলের চারপাশে শট খেলার ক্ষমতা শুরুতেই চাপে ফেলতে পারে টাইগারদের। তবে গিলকে স্টাম্পের বল কিংবা ‘ফোর্থ স্টাম্প’ লেংথে আক্রমণ করলে উইকেটের সুযোগ বাড়তে পারে। নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ নতুন বলে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।

মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব এখনো রানে ফিরতে না পারলেও তাঁর বিপক্ষে আক্রমণাত্মক বোলিং করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যদিকে ডেথ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবেকে আটকাতে মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞতা বড় অস্ত্র হতে পারে।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য হবে পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলা। ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসানকে ইতিবাচক শুরু দিতে হবে। লিটন দাস যদি আজ খেলেন, তাঁর ওপরও থাকবে বড় দায়িত্ব। মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়ের ফর্ম বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।

শেষ দিকে জাকের আলী বা নুরুল হাসানের ওপর নির্ভর করবে ফিনিশিং। অন্তত ২০০ রান সংগ্রহ করাই হবে আগে ব্যাট করলে মূল লক্ষ্য। রান তাড়া করতে হলে ভারতের ব্যাটিং শক্তিকে যতটা সম্ভব সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

সুপার ফোরে জায়গা পাওয়াই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য আছে। এখন সেই সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হবে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে।