প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ১০ সহজ কৌশল

মোট দেখেছে : 97
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

আমরা অনেকেই ভাবি, যাঁরা হাই পারফরমার, তাঁদের এমন দক্ষতা বুঝি প্রাকৃতিক বা এটা তাঁদের প্রতিভা। আদতে প্রতিভা নয়, কাজে পারদর্শী হওয়ার রহস্য লুকানো থাকে দৈনন্দিন অভ্যাসে। এমনই ১০টি অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন, যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজে দক্ষ হতে আপনাকে সহায়তা করবে।

১. সকাল শুরু হোক সহজে

দিনের শুরুতেই ছোট কাজগুলো সারুন। দুই মিনিটে করা যায় এমন কাজগুলো (যেমন বিছানা গুছানো, এক গ্লাস পানি খাওয়া বা জানালার পর্দা সরানো) সাথে সাথে করে ফেললে মস্তিষ্কও ঝরঝরে হবে, আর দিনের শুরুটা হবে এনার্জি-ফুল।

২. ৯০ মিনিটের ফোকাস ম্যাজিক

একটানা ৮ ঘণ্টা কাজের চেয়ে ৯০ মিনিট গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ। এরপর ২০–৩০ মিনিট বিশ্রাম নিন। এই ছন্দ মেনে চললে ক্লান্তি কমে যাবে, কাজের গতি বাড়বে।

৩. তালিকা করুন, অপ্রয়োজনীয় বাদ দিন

যে কাজ আপনার দরকার নেই বা মন থেকে করতে ইচ্ছে করছে না—সরাসরি না বলুন। প্রয়োজনে একটি ছোট তালিকা বানান যেখানে থাকবে কোন কাজগুলো করবেন না। এতে সময় ও এনার্জি বাঁচবে।

৪. ছোট কাজ, সাথে সাথেই শেষ

ইমেইলের জবাব, কাপ ধোয়া বা কোট ঝোলানো—এসব ক্ষুদ্র কাজকে ফেলে রাখবেন না। যদি ২ মিনিটে শেষ হয়, সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলুন। এতে মানসিক চাপ কমবে।

৫. ‘না’ বলতে শিখুন

অপ্রয়োজনীয় আমন্ত্রণ বা চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব এড়িয়ে চলুন। ‘না’ বললে আপনার সপ্তাহে প্রায় ১০–১১ ঘণ্টা বাঁচতে পারে, যা কাজে লাগাতে পারবেন নিজের জন্য।

৬. সাপ্তাহিক রিভিউ

প্রতিটি সপ্তাহের শেষ দিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় নিয়ে সপ্তাহের সফলতা আর ব্যর্থতা গুছিয়ে ফেলুন। নতুন সপ্তাহ শুরু করার আগে তিনটি কাজকে অগ্রাধিকার দিলে বাকি দিনগুলো সহজে সামলাতে পারবেন।

৭. বিকেলের ক্লান্তি দূর করুন

দিন শেষে যদি অবসাদ আসে, খেয়াল করুন—আপনি যথেষ্ট নড়াচড়া করেছেন তো? পর্যাপ্ত পানি খেয়েছেন তো? শরীর কি প্রোটিন বা বিশ্রাম চাইছে? এই তিন বিষয় ঠিক করলে বিকেলের ক্লান্তি মিলিয়ে যাবে।

৮. তথ্য গ্রহণে কৌশল

অকারণে ফোন স্ক্রল করার বদলে প্রয়োজনীয় তথ্য পড়ুন বা এমন কিছু দেখুন যা কাজে লাগে কিংবা আনন্দ দেয়। তথ্য গ্রহণকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করুন।

৯. ১০-১০-১০ সূত্র

বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভাবুন—এখন করলে ১০ মিনিট পরে কেমন লাগবে? ১০ মাস পরে কী প্রভাব ফেলবে? ১০ বছর পর কতটা কাজে লাগবে? এই চিন্তাভাবনা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি সঠিক সিদ্ধান্তে সাহায্য করবে।

১০. দিন শেষ করুন, আগামী দিনের প্রস্তুতি নিন

দিন শেষ হওয়ার আগে পরের দিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিখে রাখুন। সব অ্যাপ ও ট্যাব বন্ধ করুন। জোরে বলুন—“শেষ!” এতে মন মানসিকতাও ফ্রেশ হয়ে যাবে এবং ঘুম আসবে দ্রুত।