বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা ঘরে মা ও ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। ঘটনাটি মুহূর্তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নিহতরা হলেন—প্রবাসী ইদরিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৪০) এবং তাঁদের কলেজপড়ুয়া ছেলে ইমরান হোসেন (১৮)। ইমরান শহরের ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বগুড়ায় মা–ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আতঙ্কে স্থানীয়রা





পরিবারের লোকজন জানায়, সোমবার রাতে রাতের খাবার খাওয়ার পর রানী বেগম নিজের ঘরে এবং ছেলে ইমরান পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে আত্মীয়স্বজনরা এসে ডাকাডাকি করতে গিয়ে বারান্দায় রানী বেগমের মরদেহ দেখতে পান। পরে পাশের কক্ষে গিয়ে দেখা যায় ইমরানকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শিবগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস শুকুর জানান, রাতের কোনো এক সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা–ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হত্যার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল খোয়া যাওয়ার কথাও পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।একই পরিবারের দুইজনকে হত্যার ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।