আজ ২১ আগস্ট, ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ২১তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের নারী নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান এবং শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই দশক পার




দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার পর মামলার রায় হয় ২০১৮ সালে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে গত বছর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের সেই রায় বাতিল করে আসামিদের খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে, যার শুনানি এখনো সুপ্রিম কোর্টে চলছে।
মামলার তদন্ত ও রায় নিয়ে শুরু থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক ছিল। ২০০৭ সালের এক–এগারোর পর নতুন করে তদন্তে নামেন সিআইডি, পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। নতুন অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতাদের নাম যুক্ত করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হয়—২১ আগস্টের হামলা ছিল দেশের ইতিহাসে এক নৃশংস ও জঘন্য ঘটনা। তবে মামলার তদন্তে সঠিকতা ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দেন আদালত। পাশাপাশি, নতুনভাবে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কপি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
বর্তমানে আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি চলছে। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ যুক্তি উপস্থাপন করছেন। আসামিপক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, শিশির মনিরসহ আরও কয়েকজন।