ক্রিকেটের দুর্নীতিবাজদের দেশছাড়া করবেন অ্যালেক্স মার্শাল: কঠোর বার্তা দিলেন বিসিবি পরামর্শক

মোট দেখেছে : 36
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক হিসেবে ঢাকায় এসেছেন অ্যালেক্স মার্শাল। তিনি সতর্ক করেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্নীতিবাজদের কোনো জায়গা হবে না। বিপিএলসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোকে পেশাদারভাবে পরিচালনার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই হোটেলে প্রবেশ করলেন অ্যালেক্স মার্শাল। বাইরে থাকা সাংবাদিকদের দেখে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম রসিকতা করে বললেন, ‘দেখেছ, কেমন জনপ্রিয়তা খেলাটার…!’ বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুলকে মার্শালও হেসে উত্তর দিলেন, ‘তুমিও তো এখানে কম জনপ্রিয় নও…!’

বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন নেই, তবে একই সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়াও বিস্তার করছে। সেই দুর্নীতি রুখতেই বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে অ্যালেক্স মার্শালকে। যুক্তরাজ্যের এই দুর্নীতি দমন বিশেষজ্ঞ এক বছরের চুক্তিতে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক হিসেবে ঢাকায় এসেছেন।

আজ সকালে মানবসম্পদ পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সামনে নিজের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তাঁর প্রেজেন্টেশনের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে সাজানো হবে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট।

বিকেলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্শাল কড়া হুঁশিয়ারি দেন,
“আমরা একটি নৈতিকতা বিভাগ তৈরি করব। খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা—সবাইকে সচেতন করা হবে। দলের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশে তাদের জায়গা নেই, আমরা তাদের দেশছাড়া করব।”

গত বছর আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের দায়িত্ব ছাড়েন মার্শাল। তখন তিনি বলেছিলেন, দুর্বল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোই দুর্নীতিবাজদের প্রধান টার্গেট। মজার ব্যাপার, তাঁর ঢাকায় আসার দিনই বিপিএলের দুর্নীতির বড় খবর প্রকাশিত হয়।

বিপিএল দুর্বল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কি না—এমন প্রশ্নে মার্শাল বলেন,
“যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দুর্বলভাবে পরিচালিত হলে দুর্নীতিবাজরা সুযোগ নেবে। বিপিএল যেন সেই ভাবমূর্তির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাই থেকে শুরু করে টুর্নামেন্ট আয়োজন—সবকিছুই পেশাদারভাবে ও নিরাপদভাবে পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখা। খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাইকে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া হবে। তারা যেন বাংলাদেশের আইন, ইসলামিক আইন ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন থাকে।”

উল্লেখ্য, একসময় আইসিসির ডোপিংবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন মার্শাল। বাংলাদেশে তাঁর কাজের মধ্যে এ বিষয়টিও থাকবে।